এই সামান্য বিষয়টা আপনার কাছে এতো কঠোর লেগেছে, যে আপনি আল্লাহর কাছে বিচার দিতে চাইছেন। 3x4=? ; এই অংকটা একটা তিন বছরের শিশুর জন্য কঠিন অংক। অথচ, অংকটা খুবই সহজ। ঠিক তেমনই, আপনার এই কঠোর প্রশ্নটি আসলে খুবই সহজ।
ছবির এই যন্ত্রটি কখনো ব্যবহার করেছেন? ওটা একটা ঘাস কাটার মেশিন। যন্ত্রটি চালু করে, ঠেলে নিয়ে গেলে, সবগুলো ঘাস সমান সাইজের কেটে দেয়। দেখে সহজ মনে হলেও, কাজটিতে বেশ পরিশ্রম আছে।
এমন ঘাস কাটার সময় একটা বিশেষ ঘটনা ঘটে। আশেপাশের বাতাসে কেমন যেন একটা ভেজা গন্ধ পাওয়া যায়। সেই গন্ধটা এতই জোরালো যে, ঘাস কাটার দৃশ্য না দেখেও, শুধুমাত্র গন্ধের কারণে বলতে পারবেন, ওখানে কিছুক্ষণ আগে ঘাস কাটা হয়েছে।
এমন গন্ধের পেছনে কারণ হলো - আহত হয়ে, ঘাস এক ধরণের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে। ওটা ঘাসের চিৎকার। ওটা ঘাসের কান্না।
উদ্ভিদের প্রাণ আছে। উদ্ভিদ আহত হয়, সাড়া দেয়, চিৎকার করে, কাঁদে। আওয়াজ করতে পারে না বলে, আপনি উদ্ভিদের কষ্টটা দেখেন না, বোঝেন না।
আপনার কঠোর প্রশ্নের ওই নিরীহ হরিণ, প্রতিদিন বারবার বিভিন্ন উদ্ভিদ আহত করে, হত্যা করে। ওই উদ্ভিদগুলো চিৎকার করে কাঁদে। ওই উদ্ভিদগুলো বারবার বলে - আমি কি অপরাধ করেছি, আমাকে হরিণ দিয়ে খাওয়াচ্ছ কেন?
আপনি হরিণকে যেমন নিরীহ মনে করছেন, সে তেমন নিরীহ নয়। আসলে কোন প্রাণীই নিরীহ নয়। নিজের জীবন বাঁচিয়ে রাখার জন্য, অন্য জীবকে হত্যা করে, শক্তি সংগ্রহ করে। এটাকেই আমরা খাদ্য বলি।
এই পদ্ধতিটি আল্লাহর সৃষ্টি। জীবন বাঁচিয়ে রাখার জীবনীশক্তি শুধুমাত্র আরেকটি জীবের মধ্যে পাওয়া যায়। এজন্যই একটি প্রাণী আরেকটি প্রাণীকে হত্যা করে শক্তি (খাদ্য) সংগ্রহ করে। সকল প্রাণীই অন্যকে হত্যার অপরাধী। সকল প্রাণীই অন্যের দ্বারা নিহত হবার ঝুঁকিতে আছে।
No comments:
Post a Comment